ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫

ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving license)

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রথম পদক্ষেপ হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম ৮ম শ্রেণি পাশ হতে হবে। অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর এবং পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২১ বছর হতে হবে। এছাড়া শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা আবশ্যক।

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া

১. লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন: প্রথমে bsp.brta.gov.bd-এ গিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন জমা দেওয়ার পর লার্নার লাইসেন্স সিস্টেম থেকে প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে।

২. প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা: ২-৩ মাস প্রশিক্ষণের পর নির্ধারিত দিনে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং ফিল্ড টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় মূল লার্নার লাইসেন্স, কলম এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সঙ্গে নিতে হবে।

লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
  • সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (kb) আকারের (৩০০ x ৩০০) পিক্সেল পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট। মেডিকেল সার্টিফিকেট ফরম এর জন্য এখানে ক্লিক করুন
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি। (সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)
  • ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে ইউটিলিটি বিলের কপি। (আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে) (সাইজ সর্বোচ্চ ৬০০ কেবি)
  • আবেদন ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। (১ ক্যাটাগরির জন্য ৫১৮/- টাকা এবং ২ ক্যাটাগরির জন্য ৭৪৮/- টাকা)

স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। বায়োমেট্রিক ডেটা (ডিজিটাল ছবি, স্বাক্ষর, আঙুলের ছাপ) গ্রহণের পর স্মার্টকার্ড ইস্যু করা হয়। প্রস্তুত হলে মোবাইলে SMS-এর মাধ্যমে জানানো হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • আবেদন ফরম।
  • রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
  • নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
  • সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং
  • শুধুমাত্র পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরণ

১. হালকা যান: প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।

২. মাঝারি যান: হালকা লাইসেন্সের ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক।

৩. ভারী যান: মাঝারি লাইসেন্সের ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম ৩ বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ৩ বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন

১. অপেশাদার: মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে ৪,২১২/- টাকা এবং পরবর্তী বছরে প্রতি বছর ৫১৮/- টাকা জরিমানা সহ জমা দিতে হবে। আবেদন সঠিক হলে একই দিনে বায়োমেট্রিক ডেটা গ্রহণ করা হয়।

২. পেশাদার: পুনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২,৪৮৭/- টাকা এবং মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের পরে জরিমানা সহ আবেদন করতে হবে।


ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • ১। অনলাইনে নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
  • ২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
  • ৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড (এনআইডি) -এর সত্যায়িত ফটোকপি।
  • ৪। নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদের কপি।
  • ৫। সদ্য তোলা ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

ডুপ্লিকেট লাইসেন্সের জন্য প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজ

  • নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন।
  • জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
  • নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
  • সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন BRTA সেবা পোর্টাল

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top