ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ইসির উদ্যোগ
বাংলাদেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর। এখন তাদের পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) গুরুত্ব। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য তরুণদের সচেতন করা। তাই তারা ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠতে পারবে।
কমিটি গঠন করে বিষয় অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা
এ কাজের জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের পরিকল্পনা হয়েছে। নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান হবেন এর আহ্বায়ক। তারা ছোট গল্প, নাটিকা বা সংলাপ আকারে বিষয়বস্তু প্রস্তাব করবেন।
কেন পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে?
ইসির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভোটার তালিকা এবং এনআইডি নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও পরিচয়ের দলিল। এগুলো জীবনের নানা সেবা গ্রহণে অপরিহার্য। ফলে শিক্ষার্থীদের শুরুর দিক থেকেই এ বিষয়ে ধারণা থাকা দরকার।
শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা
ইসির প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান প্রজন্ম, বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। এতে করে তারা অল্প বয়স থেকেই দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠতে পারবে।
পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে নতুন উদ্যোগ
২০১৬ সালেও নির্বাচন কমিশন এমন উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন মাধ্যমিক পর্যায়ের সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ভোটার তালিকা ও আচরণবিধি যুক্ত হয়েছিল। তবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে তা হয়নি। তাই এবার সেই ঘাটতি পূরণে নতুন করে কাজ শুরু হচ্ছে।
এনআইডি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
জাতীয় পরিচয়পত্র কেবল ভোট দেওয়ার জন্য নয়। এটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা, পাসপোর্ট পাওয়া ও সিম নিবন্ধনসহ বহু সেবার জন্য অপরিহার্য। এজন্য শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই এনআইডির গুরুত্ব বোঝানো প্রয়োজন।
শেষকথা
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীরা ভোটার তালিকা এবং এনআইডি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবে। ফলে তারা দায়িত্বশীল এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রয়োজন | টাইটেল |
---|---|
এনআইডি কার্ড সংশোধন | বড় সুখবর! এনআইডি কার্ডের ভুল এবার ফ্রি ঠিক করার সুযোগ |
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নীতিমালা | ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬: সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নতুন নীতিমালা |