আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও শক্তিশালী করতে ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে বডি ক্যামেরা ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে বডি ক্যামেরা থাকবে, যা মূলত সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্বে থাকবে।
কেন বডি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে?
বডি ক্যামেরা ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা জোরদার করা। এ উদ্যোগ ভোটকেন্দ্রে যে কোনো অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৪৭ হাজার কেন্দ্রে বডি ক্যামেরা স্থাপনের পরিকল্পনা
- প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একটি করে বডি ক্যামেরা থাকবে।
- সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এটি ব্যবহার ও মনিটর করবেন।
- প্রিজাইডিং অফিসারদেরও নির্বাচনী কেন্দ্রে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা
নির্বাচন উপলক্ষে প্রায় ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে। এর মধ্যে আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব এবং সেনাবাহিনী অন্তর্ভুক্ত। সবার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বডি ক্যামেরার সুবিধা
- ১। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি।
- ২। অপরাধ ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা।
- ৩। সঠিক প্রমাণ সংরক্ষণে সুবিধা।
- ৪। জনগণের আস্থা বৃদ্ধি।
প্রশিক্ষণ ও মহড়া
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সব বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং মহড়ার মাধ্যমে প্রস্তুতি যাচাই করা হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনকে পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য প্রশিক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বডি ক্যামেরা ব্যবহারের উদ্দেশ্য
উদ্দেশ্য | গুরুত্ব |
---|---|
স্বচ্ছতা বৃদ্ধি | ভোট প্রক্রিয়ার সঠিকতা নিশ্চিত |
নিরাপত্তা জোরদার | অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ |
তথ্য সংরক্ষণ | ভবিষ্যৎ তদন্তে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার |
আরও পড়ুন
বিষয় | আপনার প্রয়োজন |
---|---|
ভোটার তালিকা সংশোধন | ভোটার তালিকা ও এনআইডির গুরুত্ব অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে পাঠ্যবইয়ে |
জাতীয় পরিচয়পত্র আপডেট | ভোটার আইডি কার্ড যাচাই ২০২৫ – সহজ পদ্ধতিতে ছবি সহ এনআইডি চেক করুন |
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র | স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম |
স্বচ্ছ ও নিরাপদ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং যেকোনো অনিয়ম প্রতিরোধে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একটি করে বডি ক্যামেরা দেওয়া হবে।
সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা এটি ব্যবহার ও পর্যবেক্ষণ করবেন।
প্রায় ৮ লাখ সদস্য নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালন করবেন।