গুগল ফটোসে দুটি নতুন ফিচার যুক্ত হয়েছে, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ফটো লাইব্রেরি আরও সহজে সাজিয়ে রাখতে সহায়তা করবে। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মে ফিচারগুলো চালু করা হয়েছে, যা গুগল ফটোসের ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
এ দুটি ফিচার গুগল ফটোস একই ধরনের ছবিগুলোকে একত্রিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনে যেন সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় সেজন্য স্ক্রিনশট ও ছবিগুলোকে অ্যালবামে সাজিয়ে রাখবে।
ফটো স্ট্যাকসের মাধ্যমে একইধরনের ছবি গ্রুপ করা
ধরুন আপনি একটি সুন্দর সূর্যাস্তের দৃশ্য ধারণ করতে কয়েকটি শট নিলেন কিংবা বড় কোনো গ্রুপ ছবি তুলতে গেলেন, সেখানে নিখুঁত শটের জন্য বারবার চেষ্টা করতে হয়। অতিরিক্ত স্ন্যাপগুলো দিয়ে গ্যালারি ভর্তি হয়ে থাকে। দেখা যায় এক-তৃতীয়াংশ ব্যাক্তির গ্যালারিই এমন ছবি দিয়ে পূর্ণ। এ অবস্থায় গ্যালারি সাজিয়ে রাখতে একইধরনের ছবিগুলো ফটো স্ট্যাকস ফিচারের সহায়তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে সেরাছবিগুলো নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করবে গুগল ফটোস।
স্ক্রিনশট ও ডকুমেন্টগুলো আলাদা অ্যালবামে রাখা
স্ক্রিনশট নেওয়া সহজ হলেও তা গ্যালারিতে বিশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করে, যার ফলে প্রয়োজনীয় ছবি খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়। তবে এখন এআই-এর মাধ্যমে গুগল ফটোস স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনশট, আইডি, রসিদসহ অন্যান্য তথ্যের জন্য আলাদা অ্যালবাম তৈরি করতে পারে। ফলে, প্রয়োজনীয় ছবি বা ডকুমেন্ট খুঁজে পেতে আর গ্যালারির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত স্ক্রল করতে হবে না।
রিমাইন্ডার সেট করার সুবিধা
নতুন ফিচারের সাহায্যে আসন্ন কোনো অনুষ্ঠানের জন্য টিকেট বা ফ্লাইয়ারের স্ক্রিনশট থেকে সরাসরি রিমাইন্ডার সেট করা সম্ভব। যেমনঃ কোনো কনসার্টে যাওয়ার জন্য গুগল ফটোসে থাকা টিকেটের স্ক্রিনশটে ‘সেট রিমাইন্ডার’ ক্লিক করলেই সহজেই রিমাইন্ডার যোগ করা যাবে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনশট আর্কাইভ করা
ছবি তোলার ৩০ দিন পর চাইলে স্ক্রিনশট ও ডকুমেন্টগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্কাইভ করে রাখা যায়; যা মূল গ্যালারিতে দেখা যাবে না। কিন্তু নির্দিষ্ট অ্যালবাম থেকে তা প্রয়োজনে দেখা ও ব্যবহার করা যাবে।
এই নতুন ফিচারগুলো গুগল ফটোস ব্যবহারকারীদের জন্য ফটো ম্যানেজমেন্টকে আরও সহজ ও কার্যকরী করে তুলবে।