কোন ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন সেই মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি তার ওয়ারিশগণের মধ্যে যেমন তার ছেলে-মেয়ে, আত্বীয়-স্বজন, স্ত্রীদের মাঝে বন্টন করতে হয়।
মারা যাওয়া ব্যক্তির রেখে যাওয়া ওয়ারিশনগণের সম্পর্কে স্থানীয় ব্যক্তিরা জানলেও অফিস আদালতে কিন্তু ওয়ারিশ কারা তা জানে না। সেক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় মারা যাওয়া ব্যক্তির একাধিক সন্তান থাকার কারনে বা একাধিক স্ত্রী থাকার কারনে সম্পত্তি বন্টনে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। আর এই ঝামেলা যাতে সৃষ্টি না হয় এজন্য স্থানীয় সরকারের আইন অনুযায়ী প্রকৃত ওয়ারিশগণের একটি সনদপত্র নিতে হয়। আর এই সনদপত্রকেই ওয়ারিশ সনদ বলে।
ওয়ারিশন সনদ কোথায় বা কোন কাজে প্রয়োজন হয়?
- জমি জমার ক্ষেত্রে বা সম্পত্তি বন্টনের ক্ষেত্রে এই ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হয়।
- জমির খারিজ করতে বা খাজনা আদায়ের ক্ষেত্রে ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হয়।
- মামলা মকদ্দমার ক্ষেত্রেও ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হয়।
- অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হয়।
- ব্যাংক বা বীমা কোম্পানীতে যদি মৃত ব্যক্তির সম্পদ রেখে যাওয়া থাকে তাহলে সেই সম্পত্তি উত্তোলন এবং বন্টনের জন্য ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হয়।
- পেনশন তোলার জন্য ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হয়।
- এনআইডি কার্ডের বয়স, নাম, পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রেও ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন হয়।
ওয়ারিশ সনদ কোথায় থেকে সংগ্রহ করতে হয়?
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এই ওয়ারিশ সনদ দিয়ে থাকে। পৌরসভার ক্ষেত্রে পৌর কার্যালয়ে মেয়র ওয়ারিশ সনদ দিয়ে থাকে।
ওয়ারিশ সনদ নিতে কি কি কাগজপত্র লাগবে?
- যার নামে ওয়ারিশ সনদ নিতে চাচ্ছেন সেই ব্যক্তির মৃত্যু সনদ লাগবে।
- ওয়ারিশগণের পাসপোর্ট সাইজ ১ কপি ছবি এবং এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে (এনআইডি না থাকলে জন্ম সনদ কপি)।
- চেয়ারম্যান/মেয়রের প্রত্যয়নপত্র লাগবে।
ওয়ারিশ সনদ করতে কত টাকা ফি লাগে?
বিভিন্ন স্থান ভেদে ফি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার মধ্যে খরচ হবে।