নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত আবেদনের বিষয়ে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৪০ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, কর্মকর্তারা এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে ১০০টি আবেদন বাতিল করেছেন, যার মধ্যে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একাই ৩৫টি আবেদন বাতিল করেছেন।
ইসির নির্দেশনা অমান্যের অভিযোগ
ইসির এনআইডি অনুবিভাগের উপ-পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মো. তকদির আহমেদ ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এনআইডি অনুবিভাগের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন কার্যক্রমে মিশন অফিস থেকে বায়োমেট্রিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনগুলো উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে তদন্তের জন্য আসে। তবে আবেদন বাতিল করার আগে নির্ধারিত তিনটি ডকুমেন্ট ১. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, ২. পাসপোর্টের কপি, ৩. পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পোর্টালে সংযুক্ত না থাকলে তা বাতিল করা যাবে না বলে নির্দেশনা ছিল।
এছাড়া ইসির সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি জুম সভায় এ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। এরপরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নির্দেশনা অমান্য করে ডকুমেন্ট সংযুক্ত না থাকা অবস্থায় আবেদন বাতিল করেছেন।
ইসির কর্মকর্তাদের উপস্থিতির নির্দেশ
বাতিল করা ১০০টি আবেদনের মধ্যে ১ থেকে ৬৮ ক্রমিক পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ১৪ জন কর্মকর্তা, ৬৯ থেকে ৮৩ ক্রমিক পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ১৩ জন কর্মকর্তা, এবং ৮৪ থেকে ১০০ ক্রমিক পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ১৩ জন কর্মকর্তাকে পৃথক তিন দিন (২, ৩, এবং ৪ ডিসেম্বর) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এনআইডি মহাপরিচালকের কাছে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
কারণ দর্শানোর প্রয়োজনীয়তা
জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত এ ধরনের দায়িত্ব অবহেলা ইসির কার্যক্রমে স্বচ্ছতার ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন নিয়ে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার এলাকায় কোন কর্মকর্তারা প্রবাসীদের আবেদন বাতিল করেছেন তা দেখতে ক্লিক করুন।