ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

২০ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আপনার নাম, ঠিকানা বা তথ্য হালনাগাদ করতে চান? লেখাটি দেখে জেনে নিন কীভাবে আপনি নতুন ভোটার হবেন এবং তথ্য ঠিকঠাক করবেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদন করার নিয়ম জানতে পুরো লেখাটি পড়ুন।

ভোটার হালনাগাদ কি?

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তথ্য সংগ্রহকারীর মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করে নতুন ভোটার তালিকাভূক্তির কার্যক্রমই হচ্ছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ। নির্বাচন কমিশন প্রতি বছর এই ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম করে থাকে।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ভোটার হওয়ার উপযুক্ত কোনো ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে ইসি (Election Commission) কার্যালয়ে গিয়েও ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। আবার নির্বাচন কমিশন বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদের সময় আগাম তথ্যও সংগ্রহ করে রাখে। বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫

২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবারের হালনাগাদে আগাম ১ বছরের তথ্য নেওয়া হতে পারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে, যা গত দুই বছর হয়নি। বর্তমানে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ৫ জানুয়ারি শেষ হবে। এরপর তারা তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ দেবে৷ আর এসব প্রক্রিয়া শেষে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়িবাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নতুন ভোটার করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

এবারের হালনাগাদে কারা ভোটার হতে পারবে

আগাম ১ বছরের তথ্য সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। অর্থ্যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের তথ্যই সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও যাদের ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে কিন্তু কোন কারনবশত ভোটার হতে পারেননি তাদেরকেও ভোটার করা হবে।

ভোটার হতে যদি কেউ বাদ পরে থাকে একইসঙ্গে আমরা আগাম আরও এক বছরে তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে। আর এবার শুধু মাত্র পঁচিশ সালের তথ্য সংগ্রহ করবো না। একইসঙ্গে ছাব্বিশ সালের পহেলা জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের তথ্যও সংগ্রহ করবো। তবে তারা ২০২৬ সালের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এছাড়াও তারা ২০২৫ সালের কোনো নির্বাচনে ভোটার হিসেবে গণ্য হবে না বা ভোট দিতে পারবে না।

ভোটার হতে কি কি কাগজ লাগে

উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে একজন নতুন ভোটার হতে অনেক বেশি কাগজপত্র লাগলেও ভোটার হালনাগাদে অত বেশি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে না। যেসকল কাগজপত্র লাগবে:

  • ১। ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্ম সনদ কপি।
  • ২। নাগরিকত্ব সনদ।
  • ৩। পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড।
  • ৪। হোল্ডিং ট্যাক্স বা বাড়িভাড়া রশিদের কপি।
  • ৫। এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২৬
ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের গ্রাফি

হালনাগাদ ২০২৫ এ যারা ভোটার হতে পারবে

২০২৬ সালের ১লা জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তারা ভোটার হতে পারবে। এছাড়াও ১৮ বছর হয়েছে কিন্তু কারণবশত যারা এখনও ভোটার হতে পারেন নি তাদের ভোটার করা হবে।

মৃত ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ

ভোটার তালিকা হালনাগাদে নতুন ভোটার করার পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। আপনার পরিবারের বা নিকটস্থ কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে থাকেন, তাহলে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করতে হবে।

মৃত ব্যক্তির নাম কর্তনে যেসব তথ্য প্রয়োজন

সতকর্তাঃ তথ্য দাতা/তথ্য সংগ্রহকারী ভুল তথ্য দিলে আইনগত ব্যবস্থা নিবে নির্বাচন কমিশন।

হালনাগাদ কর্মসূচীতে যা যা করা হবে

নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তি

২০০৮ সালের ১লা জানুয়ারি অথবা তার পূর্বে যাদের জন্ম এবং ইতোপূর্বে যারা ভোটার হিসেবে কোথাও নিবন্ধিত হন নাই, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হালনাগাদ ২০২৫ এ ভোটার করা হবে।

মৃত ভোটার কর্তন

যারা মারা গেছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হবে।


হিজড়া ভোটার

হালানাগাদ কর্মসূচিতে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীদের ভোটার তালিকায় হিজড়া পরিচয়ে অন্তর্ভূক্ত করা হয়

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top