প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ আবারও চালু হচ্ছে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য। এই পরীক্ষাটি শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই ও উৎসাহ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
২০২৫ সালের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে ১৭ জুলাই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। দেশের সকল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয় যে, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
ডিপিই-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে যেকোনো একদিনে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। চূড়ান্ত তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার বিষয়সমূহ
২০২৫ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা হবে মোট ৪টি বিষয়ের উপর:
- বাংলা
- ইংরেজি
- প্রাথমিক গণিত
- বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় + প্রাথমিক বিজ্ঞান (যৌথ প্রশ্নপত্রে)
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয় দুটির জন্য একটি সম্মিলিত প্রশ্নপত্র থাকবে, যার প্রতিটি অংশ থেকে ৫০% করে নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
কারা অংশ নিতে পারবে বৃত্তি পরীক্ষায়?
নিচের প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে:
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়
- সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধীন প্রাথমিক শাখা
তবে, প্রথম সাময়িক পরীক্ষার মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ৪০% শিক্ষার্থী বাছাই করে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
বৃত্তি পরীক্ষার পটভূমি ও অতীত ইতিহাস
- ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার প্রচলন হলে ঐতিহ্যবাহী বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়।
- ২০২২ সালে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর ঘোষণা দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
- গত কয়েক বছরে বিকল্প পদ্ধতিতে মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি চালু ছিল।
- এবার ২০২৫ সালে, সরকারের পক্ষ থেকে আবারও প্রাথমিক পর্যায়ে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃত্তি পরীক্ষার গুরুত্ব ও উপকারিতা
এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করবে। শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই নিজেকে প্রমাণ করার একটি সুযোগ পাবে, যা ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস গঠনে সহায়ক হবে।
এছাড়া, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হিসেবে কাজ করবে। তাই শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।